নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৮ জুন ২০২৪ ১১ : ২৭Snigdha Dey

আলাদা হয়ে গেছে সোহাগ-চাঁদ। মেয়ে চরকিকে নিয়ে আলাদা থাকে সে। এদিকে চরকি তার বাবা কে না জেনেই এসে উপস্থিত চাঁদের কাছে। কি হবে তারপর? শুটিং ফ্লোরে চলছে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এপিসোডের শুটিং। কালার্স বাংলার ধারাবাহিক 'সোহাগ চাঁদ'-এর শুটিং সেট ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে ঠিক কী চলছে? জানতে হাজির আজকাল ডট ইন

স্কুলে অপদস্থের শিকার

মেকআপ রুমে ঢুকেই নায়িকার দেখা মিলল। নিজেই সোহাগের রূপে সেজে নিচ্ছেন নায়িকা অন্বেষা চক্রবর্তী। মেকআপের সঙ্গেই চলতে থাকলো আড্ডা। মেয়ে চরকিকে দেখে এখন ছোটবেলায় ফিরতে ইচ্ছে করে? "ওকে দেখি আর ভাবি, ওর বয়সে এতকিছু একসঙ্গে করার কথা ভাবতেই পারতাম না। আমার ছোটবেলাটা খুব অন্যরকম কেটেছে। আমার পৈতৃক বাড়ি ব্যারাকপুরে। সেখানে আমরা ভাইবোনরা একসঙ্গে আচার চুরি করে খেতাম, দুপুরবেলা সবাই মিলে খেলতাম। কলকাতায় চলে আসি যখন তখন খুব মন খারাপ হয়েছিল।" জানালেন অন্বেষা। চাঁদের সঙ্গে পর্দার এপারে কেমন কেমিস্ট্রি? অল্প হেসে নায়িকার জবাব, "আমার খুব অল্প সংখ্যক বন্ধু। আসলে স্কুলে কোনওদিন বন্ধু হয়নি, খুব খারাপভাবে অপদস্থ হতাম আমি। তাই আমার যারা বন্ধু সবাই ইন্ডাস্ট্রির। চাঁদ অর্থাৎ অভিষেকও তাদের মধ্যে একজন।"


শখ ছিল ক্রিকেটার হওয়ার

সবেমাত্র শুটিং সেড়ে প্যাক আপের অপেক্ষায় চাঁদ। তাঁর মাঝেই চললো আড্ডা। চাঁদের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা অভিষেক বীর শর্মাকে। অভিনয়ের শুরু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, "মধ্যবিত্ত পরিবারে অভিনয়টা বিলাসিতা। বাবা মা চেয়েছিলেন আমি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হই। আমার ইচ্ছে ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। এরপর মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় অভিনয়ের সুযোগ আসতে থাকে। আমার বন্ধুরা খুব উৎসাহিত করতো আমায় কিন্তু আমি ভয় পেতাম। কারণ আমি অবাঙালি, বাংলায় কাজ করার সাহস পেতাম না ভাষার অদক্ষতার জন্য। এরপর হঠাৎ একদিন ভাবলাম শুরু করেই দেখি, ব্যাস তারপর থেকেই চলছে এই জার্নি।" শুটিং সেটের বাড়তি পাওনা হিসেবে ছিল আড্ডার ফাঁকে নায়কের গলায় গান। শুধু ক্রিকেটই নয়, গানও পছন্দের শীর্ষে রয়েছে অভিষেকের।

ছোট্ট রাজকন্যা চরকি

নিজের অংশের শুটিং শেষ করে দৌড়ে মেকআপ রুমে ঢুকলো ছোট্ট চরকি। চরকির চরিত্রে দর্শক দেখছেন প্রিয়াংশী চৌধুরীকে। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা চুল বিছিয়ে তখন চলছে তার চুলের সজ্জা। রূপকথার পরীর মতো ছোট্ট চরকিকে কেমন লাগছে তার বন্ধুদের? চটপট উত্তরে সে জানায়, "খুব ভাল বলছে। এখন তো গরমের ছুটি চলছে, স্কুল খুললে আবার সবার সঙ্গে দেখা হবে তখন জানতে চাইব আমায় ওদের কেমন লাগছে।" শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকেই চলে ছোট্ট প্রিয়াংশীর পড়াশোনা। পর্দায় একসঙ্গে দেখা না গেলেও শুটিং ফ্লোরের বাইরে একসঙ্গে খোশমেজাজে দেখা মিলল সোহাগ আর চাঁদের।